1. [email protected] : mailasiasuperadmin :
  2. [email protected] : Moynul Abedin Sumon : Moynul Abedin Sumon
অতিথি পাখি ও লাল কাকঁড়ার রাজ্য চর বিজয়।। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা অনন্য এক ভুবন - mailAsia.News
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম :

অতিথি পাখি ও লাল কাকঁড়ার রাজ্য চর বিজয়।। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা অনন্য এক ভুবন

সংবাদদাতা
  • আপলোড এর সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৭ বার দেথা হয়েছে

 

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা অনন্য এক ভুবন, যার নাম “চর বিজয়’’। চারদিকে অথৈই জলরাশি, আর শুধুই ধু-ধু বালু। চেনা-অচেনা নানা প্রজাতির অতিথি পাখির কলকাকলী ও লাল কাকঁড়া ছুটো ছুটি। সমুদ্রের মধ্যখানে এ যেন একটুকরা ভুমি। নেই জনবসতি কিংবা গাছপালা। সাগরকন্যা কুয়াকাটার সৈকত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে পর্যটনের নতুন এক সম্ভাবনা।

জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে এ চরটি পানিতে ডুবে থাকে। আর শীত মৌসুমে সাগরের মধ্যে বিশাল এলাকা নিয়ে জেগে ওঠে। ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের অভয়ারণ্য হওয়ায় সারা বছর এর আশপাশে থাকে জেলেদের উপস্থিতি। তবে ভ্রমণপিপাসুদের একটি দল এই চরটির সন্ধান পায়। জেলেদের ভাষায় এটি ‘‘হাইরের চর’’ হলেও বর্তমান ‘‘চর বিজয়’’ নামে বেশ পরিচত। প্রতিবছরই শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আবার শীত কমে গেলে পাখিগুলো যে যার মতো অন্যত্র চলে যায়। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে এ চরটি যোগ হয়েছে এক নতুন মাত্রা। “চর বিজয়” পর্যটন শিল্পে ঘটবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এমন প্রত্যাশা করেছেন পর্যটকসহ ট্যুরিস্ট ব্যবসায়িরা।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোড মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কেএম বাচ্চু বলেন, চরটির চারদিকে সমুদ্রের গর্জন ও পাখির কিচির মিচির শব্দ, যে কারো মনকে জয় করে নেবে। একই সাথে দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। তাই প্রতিদিনই পর্যটকরা ট্রলার যোগে ছুটে যায় এ চরটিতে। কুয়াকাটা সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে মাত্র দেড় ঘণ্টায় চর বিজয় পৌঁছানো যায় তিনি জানিয়েছেন।

কুয়াকাটা ট্যুরিজাম ম্যানেজম্যন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুমের সাধারন সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটারের এই চরটিতে কোনো জনবসতি কিংবা গাছপালা নেই। জনবসতিহীন চরজুড়েই লাল কাকঁড়া ও নানা প্রজাতির অতিথি পাখির অভয়াশ্রম। ২০১৭ সালের বিজয়ের মাসে এ চরটি আবিষ্কার হয়েছে। তাই চর শব্দের সঙ্গে বিজয় শব্দটি যুক্ত করে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তারা। ওইসময় জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বন বিভাগ এ চরে গোল, ছইলা, কেওড়া, সুন্দরসহ ম্যানগ্রোভ জাতিয় গাছের চারা রোপন করেছেন।


মহিপুর বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ চরটিতে পশু পাখির আভায়ারন্য গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছের চারা রোপন করা হয়েছিল। প্রকৃতিক দূর্যোগসহ সাগরের ঢেউয়ের তোরে সেসব চারাগুলো এখন আর নেই। এ বছরও ওই চরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।


কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, এ চরটি কুয়াকাটার জন্য আর্শিবাদ। তবে পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য চর বিজয়কে আকর্ষনিয় পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি করেছেন তিনি।

 

News Desk/mosu

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
© All Rights Reserved © 2022
Development Cyber Planet BD