আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে সোমবার সকালে সম্পারানী (২৩) নমে এক কলেজ ছাত্রী প্রেমে বাধা দেওয়ায় বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনায় প্রেমিক সুর্যদেব নামে ওই প্রেমিককে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার আঠার গাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের নরেন চন্দ্র হাওলাদারের মেয়ে পটুয়াখালী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান ভিগের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী সম্পা রানীর (২৩) সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাদ খান সর্দার পাড়া গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র রায় এর ছেলে রংপুর সরকারী কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান ভিাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সুর্য দেব রায় এর সাথে ৪-৫ বছর পূর্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে সূত্র ধরে প্রেমিক সুর্য দেব রায় রবিবার সন্ধ্যায় সম্পারানীর বাড়িতে আসেন তাকে বিয়ে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এঘটনা সম্পার পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে তারা এ প্রেমে বাধা দেন। এবং পুলিশকে জানালে গাজীপুর পুলিশ সদস্যরা সুর্যদেবকে রবিবার রাতে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ফারিতে আটকে রাখে। প্রেমে বাধা দেওয়ার এখবর পেয়ে সম্পারানী তার পরিবারের সাথে অভিমান করে সোমবার সকালে সকলের অঘোচরে প্রতিবেশী যুগল ভক্তের পানের বরজে প্রবেশ করে বিষ পানে আত্হত্যার চেষ্টা করে অচেতন অবস্থায় পরে থাকে। স্থানীয়রা তাকে এ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার পরিবারকে খবর দিলে তারা সম্পাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরই তার মৃত্যু ঘটে।
সম্পারানীর বড় ভাই রতন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, একটা অপরিচিতি অচেনা ছেলের সাথে আমার বোনের প্রেমে বাধা দেওয়া সে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া প্রেমিক সুর্যদেব দুরের বাসিন্দা হওয়ায় তাকে পুলিশী ফোজত রাখা হয়েছে।