1. [email protected] : mailasiasuperadmin :
  2. [email protected] : Moynul Abedin Sumon : Moynul Abedin Sumon
আমতলীর ৩০ সড়কের বেহাল দশা, খানাখন্দ- দূর্ভোগে উপজেলার লাখো মানুষ - mailAsia.News
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম :

আমতলীর ৩০ সড়কের বেহাল দশা, খানাখন্দ- দূর্ভোগে উপজেলার লাখো মানুষ

সংবাদদাতা
  • আপলোড এর সময় : মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৮১ বার দেথা হয়েছে

 

বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বরগুনার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন সড়ক খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় বর্তমানে তা এক একটি ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৩০টি সড়ক সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পরছে। এসব সড়কের বিভিন্ন গর্তে পানি জমে চালচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে আমতলী- তালতলী উপজেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে এ সড়ক নির্মাণ করা উদ্যোগ নেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। এটি মানিকঝুড়ি থেকে সোনাকাটা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়ক। ওই বছর মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। পরে ২০০৩ সালে কচুপাত্রা থেকে সোনাকাটা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার সড়ক হেরিনবন করা হয়। পরে ২০০৮ সালে ওই সড়কটি পাকাকরণ করা হয়। ভেঙে যাওয়ায় পুনরায় ২০১৬ সালে ওই সড়কটি সংস্কার করা হয়। সবশেষ মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সড়কটি ২০১৯ সালে সংস্কার করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।

 

সড়ক সংস্কারের এক বছরের মাথায় ১২ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরে ডোবায় পরিণত হয়। বর্তমানে সড়কটি বেহাল দশায় পড়ে আছে। উপজেলার খেকুয়ানী বাজার থেকে গুলিশাখালী বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পথের কার্পেটিং উঠে গিয়েছে। রাস্তা থেকে খোয়া উঠে গিয়ে অনেক জায়গায় গর্ত হয়ে কর্দমাক্ত হয়ে আছে।গুলিশাখালী বাজার থেকে গোজখালী ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কেরও একই দশা। কুকুয়া ইউনিয়নের মহেশখালী স্ট্যান্ড থেকে চরখালী সড়কটি ২ বছর আগে নির্মাণ করে কার্পেটিং হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে নিম্নমানের কাজের কারনে বছর যেতে না যতেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট ছোট গর্ত হয়ে গেছে, যারফলে প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটছে। আমতলী পৌরসভার বটতলা থেকে হলদিয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী সড়কগুলোর প্রায় ৯০শতাংশেরই বেহাল দশা। অধিকাংশ রাস্তাই ২০১২ সালের পর আর সংস্কার করা হয়নি।

আমতলি ছুরিকাটা মোর থেকে মহিষডাংঙ্গা ব্রীজ পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ইটের খোয়া দিয়ে কোন রকম যানচলাচল করছে। সদর ইউনিয়নের নোমারহাট হয়ে হলদিয়া বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়কটির অবস্থা খবই খারাপ চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া বাধ থেকে কাউনিয়া গ্রামের কালাম মিস্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার, ইউনিয়নের মানিক গাজীর বাড়ি থেকে চালিতাবুনিয়া হয়ে কালিবাড়ি পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার, হলদিয়া সেতু থেকে চন্দ্রা হয়ে তালুকদার বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার, ৩ নং ওয়ার্ডের মাজার রোড থেকে কাউনিয়া বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটারের একই বেহাল অবস্থা। গুরুদল গ্রামের বাসিন্দা সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট আরিফুর রহমান বলেন, হলদিয়ার অধিকাংশ রাস্তারই বেহাল অবস্থা, আমরা চরম দূর্ভোগে আছি, অচিরেই সড়কগুলো সংস্কার প্রয়োজন।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,সড়কগুলো সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

 

News Desk/WE

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
© All Rights Reserved © 2022
Development Cyber Planet BD