বৃদ্ধ আবদুর রশিদ খান বলেন,’ঘর ভাঙ্গার নোটিশ আসেলে আমরা আমাদের কাগজপত্র ইউএনও স্যারকে দেখাই। কিন্তু কোনমতেই তিনি তা মানতে রাজি হননি। এমনকি আমাদের আকুতিও শুনেননি। বাধ্য হয়ে আমরা সবাই মিলে আদালতে মামলা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা চলাকালীন কেমনে আমাদের ঘর দরজা ভেঙে দিল? আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলাম। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে আমাদের পক্ষে কাগজ পাঠিয়েছিলেন সেটিও ইউএনও না দেখে আমাদের সব ভেঙে ফেলেছেন। এখান ২৪ পরিবারে প্রায় ৮০ জন সদস্য রাস্তায় জীবন যাপন করছি। আমাদের এই ২৪ পরিবারকে যদি সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেন তবে রাস্তায়ই আমাদের জীবনযাপন করতে হবে।’
আরেক ভুক্তভোগী মো. খলিল বলেন, ‘মোগো জমিতে মোরা থাকতাম। ইউএনও সাহেব মোগো ঘর দুয়ার সব পুলিশ লইয়া ভেঙ্গে দিছে। মোরা এখন বালবাচ্চা লইয়া কই থাকমু? মোগো একটা ব্যবস্থা করে দেন আপনারা।’
এ ব্যাপারে তালতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম সাদিক তানভীর বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ৪ একর ২৭ শতাংশ সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্প ৪ এর আওতায় ১৪২ টি ঘর নির্মাণ করা হবে। উদ্ধারকৃত জমিতে যারা গৃহহীন হয়েছেন তাদের সকলকে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে নতুন ঘর দেওয়া হবে।’
এবি