1. [email protected] : mailasiasuperadmin :
  2. [email protected] : Moynul Abedin Sumon : Moynul Abedin Sumon
একটি শ্রেণী কক্ষে তিনিটি ক্লাসের পাঠদান - mailAsia.News
শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম :

একটি শ্রেণী কক্ষে তিনিটি ক্লাসের পাঠদান

সংবাদদাতা
  • আপলোড এর সময় : বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৮৬ বার দেথা হয়েছে
মাজাহারুল ইসলাম মামুন, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
তিনটি শ্রেণী কক্ষ। তার মধ্যে একটিতে শিক্ষকরা বসেন। একটি দখল করে মালামাল রেখেছেন যুবলীগ সভাপতি। বাকি একটি শ্রেণী কক্ষে এক সাথে চলছে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর পাঠদান। তিনজন শিক্ষক একসাথে তিনিটি ক্লাস নিচ্ছেন। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ সিন্দুর্ণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে পাঠদানের এমন অদ্ভুত দৃশ্য দেখা যাবে।
 
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনে ৩ শ্রেণী কক্ষে আমরা ভাগ করে করে পাঠদান করে আসছি। কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ ৪ বছরে নিমার্ণ কাজ শেষ না করে উল্টো পুরাতন ভবনের একটি শ্রেনী কক্ষ দখল করে মালামাল রেখেছেন ঠিকাদার আব্দুল হামিদ সরকার হামিদুল। ফলে এক শ্রেণী কক্ষেই এক সাথে চলছে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর পাঠদান। তিনজন শিক্ষক একটি কক্ষে একসাথে তিনটি ক্লাস নিচ্ছেন। শিশু শ্রেণীর ক্লাস হচ্ছে কখনো বারান্দায়, কখনো মাঠে খোলা আকাশের নিচে।
 
প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মোল্লা জানান, বিষয়টি একাধিকবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে অবগত করা হলেও কোনো সফলতা আসেনি।
 
অভিযোগ উঠেছে, ওই নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও অধিকাংশ টাকা উত্তোলন করেছেন ঠিকাদার ও হাতীবান্ধা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ সরকার হামিদুল।
 
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র সাথে যোগাযোগ করলেও কোনো সফলতা পায়নি।
 
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও নতুন ভবন নিমার্ণের ঠিকাদার আব্দুল হামিদ সরকার হামিদুলের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিঠুন বর্ম্মণ বলেন, শ্রেণী কক্ষে ঠিকাদার মালামাল রেখেছেন তা আমি জানি না। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
 
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন জানান, ঠিকাদারকে অনেক চাপা দেয়া হচ্ছে তারপরও তিনি কাজ শেষ করছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভবন খুলে দেয়া হবে।
 

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, বিষয়টি দু:খজনক। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

News Desk/ WE

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
© All Rights Reserved © 2022
Development Cyber Planet BD