1. [email protected] : mailasiasuperadmin :
  2. [email protected] : Moynul Abedin Sumon : Moynul Abedin Sumon
জমি কিনে কবলার জন্য দ্বারে দ্বারে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী - mailAsia.News
শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩, ১২:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম :

জমি কিনে কবলার জন্য দ্বারে দ্বারে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী

সংবাদদাতা
  • আপলোড এর সময় : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৭৭ বার দেথা হয়েছে
মাজাহারুল ইসলাম মামুন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি কিনে কবলার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী চক্রেশ্বর বর্ম্মার স্ত্রী সুধা রানী বর্মনী নামে এক নারী। গত ৭ বছর আগে তার প্রতিবেশী মৃত সুধির চন্দ্রের ছেলে সুজন কুমার মোহন্ত ও মৃত ডালিম মহন্তের ছেলে নারায়ন মোহন্তকে জমি ক্রয়ের জন্য টাকা দেন। কিন্তু এতদিনেও জমি কবলা না পেয়ে ন্যায় বিচার পেতে শুক্রবার রাতে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সুধা রানী বর্মনী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দঃ পারুলিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী চক্রেশ্বর বর্ম্মার স্ত্রী সুধা রানী বর্মনী ৭ বছর আগে প্রতিবেশী সুজন কুমার মোহন্ত ও নারায়ন মোহন্তের কাছে ৭ শতাংশ জমি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে টাকা দেন এবং উক্ত জমিতে বসতবাড়ি নির্মান করেন। কিন্ত টাকা দেয়ার ৭ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ওই জমি কবলা দেয়নি সুজন ও নারায়ন। কবলা না দিয়ে আজ কাল করে টালবাহানা করছে এবং উক্ত জমি বর্তমানে অন্যত্রে বিক্রয়ের চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সুধা রানী বর্মনী জানান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ২০১৪ সালে আমার প্রতিবেশী সুজন কুমার মোহন্ত’র কাছ থেকে দক্ষিন পারুলিয়া মৌজার এস.এ ১১৩২ নং দাগে ৫ শতাংশ জমি এবং নারায়ন মোহন্তের কাছে ২ শতাংশ জমি ক্রয় করি। তখন স্থানীয় সার্ভেয়ার দ্বারা জমির সীমানা নির্ধারন করে দিয়ে জমির খারিজ খতিয়ান বের হলে কবলা দিবে বলে আমাকে বসতবাড়ী নির্মান করতে বলে। তখন আমি বসতবাড়ী নির্মান করে সন্তানদের নিয়ে আজও পর্যন্ত বসবাস করে আসিতেছি। কিন্তু তিনি আজ কাল করে জমির দলিল কবলা না দিয়ে কালক্ষেপন করে আসছেন। এ ঘটনায় আমি স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংশায় ব্যর্থ হয়ে নিরুপায় হয়ে হাতীবান্ধা থানাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হয়েও এভাবে হয়রানী হচ্ছি। এই জমি ছাড়া আমার আর কোন জমি নাই। অনেক কষ্ট করে জমিটুকু কিনেছিলাম।

এ বিষয়ে সুজন কুমার মহন্তের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন বক্তব্য না দিয়ে স্বাক্ষাতে কথা হবে বলে জানান। নারায়ন মহন্তের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

News Desk/WE

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
© All Rights Reserved © 2022
Development Cyber Planet BD