মনিরুল ইসলাম, মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অন্তত ১শ‘৬০ জেলেসহ ১১ টি মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এখনো নিখোজ রয়েছে ৩৪ জন
জেলে। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো এমবি মামনি(৩), এফবি সাইফুল, এফবি আল মামুন, এফবি কুলসুম, এফবি রফিক মিঝি, এফবি নুরবানু ও এফবি মায়ের দোয়া।
এছাড়া নাম বিহীন ভোলার চরফ্যাশনের ১ টি, গলাচিপার পানপট্রির ১টি, কলাপাড়ার লালুয়ার ১টি ও বরগুনার নাপিতা এলাকার ১ টি রয়েছে। নিখোজ জেলেদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন ও আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়,এখও ২৭ ট্রলারের হদিস নেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলীপুর- কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা ও মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, সাগরের অস্বাভাবিক ঢেউ এবং ঝড়ের কবলে পরে
তাদের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্য ট্রলারের মাধ্যমে অন্তত ১শ‘২৬ জেলে উদ্ধার হলেও নিখোজ হয় ৩৪ জেলে। এর মধ্যে নিখোজ ১৪ জেলে এফবি কুলসুম ট্রলারে ছিলো। আর ১৮ জেলে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারে ছিলো। আর এফবি রফিক মিঝি ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় ওই ট্রলারের মালিক রফিক মিঝি (৬০) নিখোজ হন।
এদিকে প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে মোহাম্মদ (৩) নামের একটি ট্রলার থেকে সাগরে পরে গিয়ে নিখোজ হয় ওই ট্রলারের জেলে বাবুল (৩৫)। উদ্ধারকৃত জেলেরা কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাপাতাল ও
মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার সেলিম মন্ডল জানান, সাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের টহল টিম সাগরে
রয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এছাড়া এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
News Desk/ WE