লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহন নাজিরপুর থেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া নৌ-রুটে ফেরি সার্ভিস স্থাপনের জন্য দুই পাড় পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী। তেঁতুলিয়া নদীর এই পথে একটি ফেরি সার্ভিস চালুর দাবী দুই জেলার বাসিন্ধাদের। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে প্রথমে ভোলার লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর ঘাট ও পরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ঘাট পরিদর্শন করেন তিনি।
উপকূলীয় এলাকায় জলপরিবহন বিস্তৃত করার লক্ষ্য নিয়ে নাজিরপুর ও কালাইয়া ঘাট পরিদর্শন করেন বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী। এসময় তিনি নদীপথ বৃদ্ধির কার্যক্রম এর অংশ হিসেবে এই রুটে ফেরি সার্ভিস চালু করার জন্য দ্রুত সমীক্ষার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।
ফেরিঘাট এর দুইপাশের অবস্থানসহ নদীর নাব্যতা অনুযায়ী ফেরি চলাচলের উপযোগী করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন তিনি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল কার্যক্রম শুরু হবে বলেও আশ^াস দেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তজুমদ্দিনের ইউএনও মরিয়ম বেগম, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম অশিকুজ্জামান, ক্যাপ্টেন হাসেমুর রহমান চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির ভোলার বানিজ্যিক ব্যবস্থাপক পারভেজ খানসহ আরও অনেকে ।
এই নৌ-পথ দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পটুয়াখালী থেকে ভোলা হয়ে লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। একই সাথে এই পথ দিয়ে ভোলার দক্ষিণাঞ্চলেল প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাউফল হয়ে খুব সহজেই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। কিন্তু তেঁতুলিয়া নদীতে ফেরি না থাকায় এসব যাত্রীরা ছোট ছোট লঞ্চে যাতায়াত করে থাকে। এই রুটে একটি ফেরি সার্ভিস চালু হলে দুই জেলার মানুষ খুব সহজেই যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে পারবে বলে জানান যাত্রীরা।
News Desk/WE