1. [email protected] : mailasiasuperadmin :
  2. [email protected] : Moynul Abedin Sumon : Moynul Abedin Sumon
নড়বড়ে ভাসমান সেতু।। ঝুঁকিতে পার হচ্ছে ৫ গ্রামের মানুষ - mailAsia.News
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম :

নড়বড়ে ভাসমান সেতু।। ঝুঁকিতে পার হচ্ছে ৫ গ্রামের মানুষ

সংবাদদাতা
  • আপলোড এর সময় : রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৬৯ বার দেথা হয়েছে

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভাসমান সেই কাঠের সেতুটি চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপর দিয়ে মানুষ হাটলে দোল খাচ্ছে। স্থিরভাবে থাকছে না। ভেঙ্গে গেছে অনেকাংশের কাঠের তক্তা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্লাস্টিক ড্রামগুলো। গ্রামবাসীদের অর্থায়নে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পাখিমারার খালের উপর নির্মিত সেতুটি একেবারেই নড়বড়ে হয়ে গেছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। তারপরও কৃষি পল্লী খ্যাত ওই ইউনিয়নের ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ ভাসমান সেতু পরাপার হচ্ছে। তবে এ খালের উপর একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, এ পয়েন্টে ১১৬ মিটার দীর্ঘ একটি আয়রণ ব্রিজ ২০১৭ সালে ৬ আগস্ট রাতে হঠাৎ করে ভেঙে পরে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সবজির গ্রাম খ্যাত মজিদপুর, এলেমপুর, কুমিরমারাসহ আশপাশের গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০২০ সালের গ্রামবাসীর অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে ভাসমান এই কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। এসময় ৭২টি প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর পাটাতন করতে ২৫০ ঘনফুট (কেভি) কাঠ লেগেছে। আর প্লাস্টিকের রশি লাগে তিন মণ। তারকাটা লেগেছে তিন মণ এমটাই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

ভাসমান সেতু সংলগ্ন কুমিরমার গ্রামে বাসিন্দা ডাক্তার শেখ মো.ফরিদ জানান, পাঁচটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিনই এ সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল করছে। প্রায় তিন বছর আগে স্বেচ্ছাশ্রমে এই ভাসমান সেতুটি গ্রামাবাসীরা নির্মান করেছে। এর মধ্যে দুই একবার মোরমত হয়েছে। বর্তমানে সেতুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়েই স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী আসা যাওয়া করে। এছাড়া শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীর স্বজনরা সবচেয়ে চরম ভোগান্তিতে পরেন।

একই গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, এখানে একটি ব্রিজ খুবই জরুরী। বেশির ভাগ সবজিই কুমিরমারা গ্রামে চাষাবাদ হয়। এসব সবজি বেশির ভাগই কৃষকরা উপজেলা শহরের বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু সেতুর অভাবে এসব মালামাল পরিবহন করা ব্যয় বহুল ও কষ্টকর বলে এই কৃষক জানিয়েছেন।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাসুম বিল্লাহ বলেন, এখানে ব্রিজ না হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ ও সবজি চাষি কৃষকদের কঠিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনে বিকল্প পথ পারি দিয়ে উপজেলা সদরে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এখানে একটি ব্রিজ হলে জনদুর্ভোগ কমে আসবে। আশা করছি যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.বাবুল মিয়া বলেন, এখানে একটি আয়রণ ব্রিজ ছিলো। গত তিন বছর আগে এটি ভেঙ্গে যায়। লোহার এ্যাঙ্গেল এখন পানির নিচে। তবে তার জানামতে উপজেল পরিষদ থেকে নতুন করে ব্রিজ নির্মানের জন্য একটি প্রস্তাব মন্ত্রনালয় পাঠিয়েছেন।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ন সাংবাদিকদের জানান, খুব শ্রীঘ্রই ওই স্পটে একটি নতুন গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

 

News Desk/WE

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
© All Rights Reserved © 2022
Development Cyber Planet BD