ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক কর্তৃক নির্মিত স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার বরগুনার তালতলী উপজেলায় ২ টি ও আমতলী উপজেলায় ১ টি মোট ৩টি হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম’র প্রধান পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ। তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন, বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম’র কর্মসূচী সমন্বয় অফিস’র কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর মোঃ আরিফ শহিদ, বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম’র সমন্বয়ক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর’র সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ রেজাউল করিম, তালতলী নির্বাহী অফিসার এস. এম. সাদিক তানভীর ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)।
বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রাম’র সমন্বয়ক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর’র সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেন, এই সাইক্লোন শেল্টারের কাম-স্কুল হস্তান্তর কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হল। এই শেল্টার ভবনের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত আধুনিক সুবিধার ব্যবহার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হল। এই প্রোগ্রামের প্রতিটি আধুনিক স্থাপনা ২৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদানে হসায়ক হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ২ হাজার মানুষ এবং ৫শত গবাদি পশু একেকটি ভবনে আশ্রয় নিতে পারবে যা বাংলাদেশের জন্য প্রায়শই অতি প্রয়োজনীয় হয়ে পারে। স্মরণ করা হচ্ছে যে, এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ১৩০ (১৩ কোটি) মার্কিন ডলার দান করার সময় বাদশা আবদুল্লাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ) অনুরোধ করেছিলেন যে তাঁর নাম প্রকাশ করা না হয়। এই অনুদানের দুটি অংশের মধ্যে রয়েছে (।) ১১০ মিলিয়ন (১১ কোটি) মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ , এবং (।) ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) মার্কিন ডলার ওয়াকফ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের কৃষি সহ অন্যান্য উদ্যোগে সহায়তা প্রদান।

মোঃ আরিফ শহিদ, বলেন, স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার ভবন এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা প্রতি ঘন্টায় ২৬০ কিঃমিঃ পর্যন্ত বায়ুপ্রবাহ (ঘূর্ণিঝড়) প্রতিরোধে সক্ষম। ভবনগুলোতে পরিবেশ বান্ধব ডিজাইন, সৌর বিদ্যুতের মাধ্যম বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বীকন লাইট, উন্নতমানের আসবাবপত্র ইত্যাদি সুবিধা সংযোজিত হয়েছে। এতে সুপেয় পানি সরবরাহ এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, যা এই উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগের সময় পানির অভাব অনেকটাই পূরণ করবে।
সংশ্লিষ্ট তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ.এন.ও) এস. এম. সাদিক তানভীর বলেন, ভবনটি রক্ষণাবেক্ষন সকলের দায়িত্ব। এই ভবন ঘূর্ণিঝড়ের সময় সকলের উপকারে আসবে। তার নিকট স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর পার চাবি থাকবে শিক্ষকদের কাছে।
উল্লেখ্য, এই কর্মসূচির ১ম পর্বে মোট ১৭২টি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই কর্মসূচির ২য় পর্বের অধীনে মোট ১৩টি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারের মধ্যে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বরগুনা সদর উপজেলা ১টি ও বেতাগী উপজেলায় ১ টি মোট ২ টি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।