বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়িরচর এলাকায় সাপের কামরে আহত হয় প্রায় ৪০ জন এর মধ্য চারজন মারা যায়। সাপে কামড়ে মারা যাওয়া চারজন হচ্ছে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়িরচর গ্রামের জামালের স্ত্রী এবং একই এলাকার জাহাঙ্গীর, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের মৃত্যু আশুতোষ শিকদার এর ছেলে সুশীল শিকদার (৫৫) ও মস্তুরটোনা এলাকায় একজনকে সাপে কামড়ালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এখন সাপের ভয়ে রাতে বিছানায়ও ঘুমাতে পারছেনা এলাকার মানুষ। মাঠে কাজ করতে যেতে পারছেনা কৃষকরা তাছাড়া স্কুলেও যেতে পারছে না ছাত্রছাত্রীরা। সাপের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তারা। ক্ষেতে খামারে কাজ করতে পারছেনা কৃষকরা!
গত একমাস থেকে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ জনকে সাপে কামড়াচ্ছে এর মধ্যে পৃথক পৃথক যায়গায় চারজন মারা যাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। হঠাৎ করে সাপের উৎপাতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে । এলাকার কাউকে সাপে কামড় দিলে রুগী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভ্যাকসিন নেই বলে বরিশাল পাঠিয়ে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীদের। অন্যদিকে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার আগেই রুগী মৃত্যু বরণ করে।
বুড়িরচর ইউনিয়নের সেলিম, রুবেল, সবুজ, সগির সহ অনেকে বলেন, হঠাৎ করেই সাপের উৎপাত বেড়েছে। ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েও কয়েকবার সাপের ধাওয়া খেয়েছে। এখন ভয়ে কাজ করতে পারছে না! ফলে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছি না।এবং যারা মরে যায় তাদের পরিবারের মধ্যে কতটা আহাজারি চলছে তা তো বুঝতেই পারছেন! আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে চাই!
সাপে কাটা রুগীদের সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিন ও জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেত দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড: হুমায়ুন কবির।
বরগুনার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ফজলুল হক জানান, সাপে কাটা রোগীদের জন্য অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ আছে। স্থানীয় পর্যায়ে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
News Desk/WE