মনিরুল ইসলাম, কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ
সৌদি যাওয়ার পর কাজের চাপসহ আবহাওয়া ও পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে দেশে ফেরত আসতে অনৈতিক চাপ, হুমকিসহ হয়রানি মামলা অভিযোগ উঠেছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নাচনাপাড়া এলাকার লুৎফা বেগম ও পারুল বেগমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লুৎফা বেগম ও পারুল বেগমে। অপরদিকে কুচক্রী মহলে ইন্দনে দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্নর অভিযোগ তুলেছেন পীর সাহেব নাচনপাড়া মো. আবুল কালাম আজাদ।
অভিযোগে জানা যায়, পীর সাহেব নাচনাপাড়া মো. আবুল কালাম আজাদ তার নিজ পুত্র মো. তোহা এবং ভাইজি জামাতা মো.বশিরকে বিস্বস্ত লোকের মাধ্যমে সৌদি পাঠানোর জন্য পরিচিত এক রিক্রুটিং প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় একই এলাকার জহিরুলের মাতা লুৎফা এবং পারভেজের মা পারুল বেগম তাদের পুত্রদের একই সাথে পাঠানোর জন্য পীর সাহেবের নাচনাপাড়ার ধর্না ধরেন।
অনুনয়-বিনিনয়ের পর জহিরুল এবং পারভেজের পরিবারের কাছ থেকে দেশে এবং কর্মস্থলের সকল খরচ বাবদ ৭ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা নিয়ে ভিসা প্রদান করে রিক্রুটিং প্রতিষ্ঠান।
একই খরচে, একই সময়ে, একই সঙ্গে, একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জহিরুল, পারভেজ, পীর সাহেব পুত্র তোহা, ভাইজি জামাতা চরজনকেই সৌদি পাঠানো হয়।
কাজের ধরন, কর্মঘন্টা, বেতন-ভাতা, থাকা খাওয়া এসব বিষয়ে অবগত হয়ে সৌদি প্রবাশ জীবন বেছে নিলেও কর্মস্থলে পৌছার পর দৈনন্দিন কাজের চাপসহ আবহাওয়া ও পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে জহিরুল ও পারভেজ দেশে ফেরত আসতে চায়। এজন্য নানা অজুহাত তুলে পরিবারের কাছে কান্নাকাটি করে।
প্রবাসী পারভেজের মা লুৎফা বেগম জানান, পীর সাহেব আল্লাহর মসজিদ ঘরে বসে কসম দিয়ে আমার ছেলে এবং ছেলের চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে নয় লাখ টাকা নিয়েছেন বিদেশে চাকুরির কথা বলে। সৌদিতে প্রতিদিন কাবা শরীফে নামাজ পড়বে আর একটি হোটেলে চাকুরি করবে। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার পর চার মাস যাবৎ ছেলেরা
না খেয়ে আছে। গত কয়েকদিন যাবৎ তাদের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে
তাদের পানি ছাড়া কিছুই খেতে দিচ্ছেন না।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে পীর সাহেব নাচনাপাড়া মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন,
ওই দু’জনার পরিবার সমুদয় টাকা ফেরতসহ ফিরতি বিমান ভাড়া প্রদানের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীর মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিকভাবে উপুর্যপোরি চাপ, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তি, ইউনিয়ন পরিষদ, থানায় অভিযোগ প্রদানের মাধ্যমে সুবিধা করতে না পেরে সর্বশেষ আদালতে মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ র্নিবাচনের রেশ ধরে একটি কুচক্র মহলের ইন্দনে ওই পরিবার দুটি তাকে সামাজিকভাবে পদেপদে হেয় প্রতিপন্ন করছে।