মো. রুম্মান হাওলাদার, মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে তুষখালী ইউনিয়নের জাতীয় পার্টি (জাপা) সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম (৪৩) এর পা বিচ্ছিন্ন ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে প্রেস কনফারেন্স করেছে জেলা পুলিশ সুপার। প্রেস ব্রিফিংয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড (মূল পরিকল্পনাকারী) তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ছোট ভাই মো. নাসির হাওলাদারের নাম প্রকাশসহ প্রত্যক্ষভাবে হামলায় জড়িত ইয়াসিন নামের এক ভাড়াটে কিলারকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানান পিরোজপুরের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান পিপিএম।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় মঠবাড়িয়া থানার তৃতীয় তালায় কনফারেন্স হল রুমে এ প্রেস ব্রিফিং করা হয়। এসময় মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল, পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) দক্ষিন বিভাগের ওসি আসলাম উদ্দিন সহ থানার অন্যান্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস কনফারেন্সে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, (মঠবাড়িয়া-চরখালী) আঞ্চলিক সড়কে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শফিকুল ইসলাম নামের একজনকে কুপিয়ে শরীর থেকে পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার প্রত্যক্ষ হামলাকারী ১২টি ডাকাতি মামলার আসামী মোঃ ইয়াসিনকে ঢাকার লাল থানার ভেরীবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ইয়াসিন পুলিশের কাছে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকরী নাসির হাওলাদারের জড়িত থাকার কথা বলেছে। নাসির হাওলাদার শফিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইয়াছিনকে টাকার বিনিময় ভাড়া করে। হামলার আগেরদিন ইসাসিন সহ আরো ৫জন মঠবাড়িয়ার একটি ঘরে অবস্থান নেয়। এবং বাজার থেকে তারা ৩টি ধারালো দাও ক্রয় করে। হামলার পরবর্তী ওই দা গুলো স্থানীয় বহেরাতলা খালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ এ পর্যন্ত ঘটনায় ব্যবহৃত ১টি মাহেন্দ্র গাড়ি, ২টি ধারালো দা, এবং ইয়াসিনের জবানবন্দী অনুযায়ী আসামী নাসির ও ইয়াসিনের ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
News Desk/ WE