সম্পাদকীয়ঃ
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার সকল
ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।
এই ঘটনাগুলির প্রেক্ষাপট যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তবে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে শুধু বাংলাদেশেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার নয় বাংলাদেশ সহ বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশের একটি বৃহত্তর অঞ্চলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটিয়ে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে যে যার মত সুবিধা আদায় করাই ছিল যার লক্ষ্য।আর এর প্রধান অন্তরায় ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা,তাই তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই মূলত ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা,যেখানে তৎকালীন সময়ের ক্ষমতাসীন দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারক,রাষ্ট্রিয় গোয়েন্দা সংস্থা সহ বিভিন্ন সংস্থা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ভিনদেশী একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহযোগিতায় সরাসরি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই ভয়াবহ হামলা করে নারকীয় হত্যাকান্ড চালানো হয়। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে প্রানে বেঁচে যান জননেত্রী শেখ হাসিনা নিহত হন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমান সহ আওয়ামী লীগের আরো ২৪ জন নেতাকর্মী,আহত হন শত শত নেতা কর্মী,কি নির্মম কি নৃশংস!!ঘটনার বিচারকে প্রহসনে রুপান্তার করে মুছেফেলার চেষ্টা করা হয় সব আলামত,সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক।
২০০৬ সালের পরে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে বেড়িয়ে আসে ঘটনার আসল সত্য। শুরু হয় বিচার কার্যক্রম কোন রকম ক্যামেরা ট্রায়াল নয় প্রচলিত বিচা ব্যবস্থায় দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারের রায় ঘেষিত হয়। বিচারে আসামী,হামলাকালীন সময় সরকারী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুত্র হাওয়া ভবন প্রধান তারেক রহমান সেই সরকরের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর উপমন্ত্রী আব্দুস ছালম পিন্টু জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান সহ আসামীদের মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় যাদের মধ্যে অনেকেই জেলে আছে অনেকেই পালিয়ে বিদেশে ফেরারি জীবনযাপন করছে।
এখন কথা হল একটি জাতি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতার শেখ হাসিনা উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ও প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠনের সভাপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন সময়ের সংসদের বিরোধী দলিয় নেতা জননেত্রী শেখ হসিনা সহ তাঁর দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে,দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হামলা চালিয়ে হত্যা ও হত্যার চেষ্টা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে হয় তাহলে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে জন্মনেয়া গনতন্ত্রের জন্য রক্ত দেয়া একটি জাতি রাষ্ট্রের প্রবল গনতন্ত্র মনা সাধারন মানুষ এবং শহরে সুশীল(তথা নগর হতে নাগর,নাগর থেকে নাগরিক) নাগরিকদের,হামলার ভয়াবহতা ও নৃশংসতাকে আমলে নিয়ে নিজেদের মনন ও বিবেকের বিচারে হামলাকারী তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলগুলি অর্থাৎ সেনা ছাউনিতে জন্মনেয়া স্বঘোষিত বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটর এহেন গনতান্ত্রিক চরিত্র ও নৃশংস কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়া উচিত নয় কি?
রাষ্ট্রীয় মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে জঙ্গিবাদের সাংগঠনিক শক্তির জানান দেয়া,প্রতিবেশী দেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ও পূর্বাঞ্চলীয় এবং বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাজ্য গুলিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের কাছ সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের জন্য এদেশের সার্বভৌমত্বকে ব্যবহার করে অস্ত্র সরবরাহ করা এবং এই সবকিছু নির্বিঘ্ন নিরাপদ করতেই ২১শে আগষ্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় ২৪ জনকে হত্যা করা,তাই নির্দ্বিধায় বলাযায় দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আটক এবং ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর বিধৌত একটি বিস্তীর্ন অঞ্চল জুরে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ কায়েমের এক সুদুর প্রসারী নীল নকশারই বাস্তবায়ন।সেই নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রধান এজেন্ট ছিল তখন কার সময় বাংলাদেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিএনপি জামায়াত নেতৃত্বাধীন চার দলিয় জোট।বিস্ময়কর হল তারা আজও এদেশে রাজনীতি করছে সুশীলেরা তাদের সমর্থন করছে এবং তারা আবারও ক্ষমতায় আসার সপ্নও দেখছে!!